বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে

ডেস্ক রিপোর্ট :
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই যশোর অঞ্চলে শীত-কুয়াশার যে দাপট, তাতে অনেকের মনেই ২০১৩ সালের স্মৃতি উঁকি দিচ্ছে। সেই বছর জানুয়ারিতে যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা রবিবার ভোরের তাপমাত্রা।

যশোর আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার ভোরের দিকে যশোরের তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগেরদিনের চেয়েও এক ডিগ্রি কম। শনিবার যশোরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বছরের প্রথম দিন থেকে যশোর অঞ্চলের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমছেই। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২ জানুয়ারি ১২.৬, ৩ জানুয়ারি ১২.২, ৪ জানুয়ারি ১৪, ৫ জানুয়ারি ৯, ৬ জানুয়ারি ১০, ৭ জানুয়ারি ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা (সর্বনিম্ন) রেকর্ড করা হয়।

এ ক’দিন যশোর অঞ্চল কুয়াশার চাদরে মোড়া আছে। সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়া কনকনে ঠাণ্ডার অনুভূতি দিচ্ছে। রাতে, এমনকি দিনের বেলাতেও সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট ও ফগ লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ তেমন ঘরের বাইরে হচ্ছে না। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষেরা।

যশোরের শীতার্ত মানুষের জন্য ইতিমধ্যেই ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৪৯ হাজার ৫শ’ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব কম্বল উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন বিতরণ করছে। তবে প্রতিবছর শীতে বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই নিম্নবিত্ত মানুষের মাঝে গরমকাপড় বিতরণ করে থাকেন। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত সেরকম কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও কুয়াশার কারণে শহরের বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিনের অনেকটা সময় বন্ধ থাকলেও বেঁচাকেনা বেড়েছে গরমকাপড়ের দোকানগুলোতে। নিম্নবিত্তদের কাপড়ের মার্কেট হিসেবে পরিচিত শহরের মুজিব সড়ক, কালেক্টরেট মার্কেট ও টাউনহল মার্কেটে মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে।

মৌসুমের প্রথম এ শৈত্যপ্রবাহে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। বয়স্ক ও শিশুরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, আরও দু’একদিন শীতের এরকম দাপট চলার পর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech